Skip to content

আগের হার্নিয়ার অপারেশনের স্থানে যদি আবারও হার্নিয়া হয়ে থাকে তবে তাকে রিকারেন্টা হার্নিয়া বা পুনরায় হার্নিয়া বলে। রিকারেন্ট হার্নিয়া হওয়ার সম্ভবনা প্রায় ০.৫% হতে ১৫%। কয়েকটি কারনে রিকারেন্স হতে পারে – 

  • হার্নিয়ার অবস্থান – ইনগুইনাল হার্নিয়ার রিকারেন্সের সম্ভবনা কম, ফিমোরাল ও ইনসিশনাল হার্নিয়ার তুলনায়।
  • মেস ব্যবহার করা না হলে রিকারেন্সের রেট বেশী, প্রায় ৩৩%।
  • ইমার্জেন্সি বা জরুরী অপারেশনের রিকারেন্স রেট অনেক বেশী।
  • ওপেন রিপেয়ারের চেয়ে, ল্যপারোস্কোপিক রিপেয়ারের রিকারেন্স রেট কিছুটা বেশী। ওপেনে শতকরা ১ ভাগ, ল্যাপারোস্কোপিতে শতকরা ২ থেকে ৫ ভাগ।
  • স্পেশালাইজড্ হার্নিয়া সেন্টার ও দক্ষ সার্জনের হাতে রিকারেন্স কম হয়।
  • রোগীর বয়স, ওজন, কোলাজেন মেটাবলিজমে তারতম্য ইত্যাদি।

রিকারেন্ট হার্নিয়া কোন পদ্ধতিতে অপারেশন করলে সবচেয়ে ভালো হবে?

সাধারনত, যদি আগের অপারেশনটি ওপেন পদ্ধতিতে হয়ে থাকে তবে এবারের অপারেশনটি ল্যাপারোস্কোপিতে করলে ভালো হবে। আবার যগি আগের অপারেশনটি ল্যাপারোস্কোপিক পদ্ধতিতে হয়ে থাকে তবে এবারের অপারেশনটি ওপেন করে করলে ভালো হবে। এর কারন হচ্ছে, যখন কোন একটি স্থানে অপারেশন করা হয় তখন আস্তে আস্তে এই জায়গার টিস্যুগুলো ফাইব্রোজড্ হয় শক্ত হয়ে যায়, যার কারনে পরবর্তীতে আবারও একই স্থানে অপারেশন করা কষ্টকর হয়। সহজ করে বলতে গেলে, ওপেন অপারেশনটি করা হয় মাংসপেশীর সামনের দিক হতে। আর ল্যাপারোস্কোপি অপারেশনটি করা হয় মাংসপেশীর পেছনের দিক হতে। তাই কারো যদি আগে ওপেন রিপয়ার হয়ে থাকে, তার মানে তার মাংসপেশীর সামনের দিকটা ফাইব্রোজড, কিন্তু পেছনের দিকটা নরমাল বা ভার্জিন। তাই ল্যাপারোস্কোপ দিয়ে পেছন গিয়ে অপারেশন করলে জটিলতা কম হবে এবং চমৎকার ফলাফল পাওয়া যাবে। 

একেক রোগীর রিকারেন্স একেক রকম হয়ে থাকে। তাই সার্জন আপনাকে দেখার পর চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিবেন।

রিকারেন্ট হার্নিয়া টেকনিক্যালি খুবই চ্যালেন্জিং ও কঠিন অপারেশন এবং কম্লিকেশন হবার সম্ভবনাও বেশী থাকে। এটা মনে রাখা জরুরী যে, সর্ব্বোচ্চ শ্রম দিয়ে রিকারেন্ট হার্নিয়া রিপেয়ার করার পরও আবার রিকারেন্স হতে পারে। কারন রিকারেন্সের জন্য শুধুমাত্র সার্জিকাল টেকনিক দায়ী না, অন্যান্য আরও অপরিবর্তনশীল ফ্যাক্টর রয়েছে যেমন রোগীর বয়স, ওজন, কোলাজেন মেটাবলিজমে তারতম্য, হার্নিয়ার প্রকারভেদ, সাইজ ইত্যাদি।

যেসব কম্লিকেশন হতে পারে:

  • ডিপ ভেইন থ্রমবোসিস
  • কিলয়েড, হাইপারট্রোফিক স্কার
  • অন্ডথলি ফুলে যাওয়া – রক্ত বা রস জমে হয়, কোন কোন ক্ষেত্রে অপারেশন লাগতে পারে।
  • অপারেশন পরবর্তী রক্তপাত – ঔষধ ভালো হতে পারে, কোন কোন ক্ষেত্রে অপারেশন লাগতে পারে।
  • অন্ডকোষের ইনজুরি – টেসটিসের রক্তনালীর ইনজুরি হলে, টেসটিসে ব্যথা বা ইনফেকশন হতে পারে, আকারে ছোট হয়ে যেতে পারে।
  • ব্যাথা – ফাইব্রাস টিস্যু নার্ভকে চাপ দিলে দীর্ঘমেয়াদী ব্যথা হতে পারে।